বিচ্ছেদের যাদুর লক্ষণসমূহঃ
================
০১) সামান্য বিষয় নিয়েই উভয়ের মধ্যে ব্যপক মতানৈক্য ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হওয়া। যদিও অন্যদের সাথে এরকম হয় না।
০২) একজনের নিকট অপরজনের সকল কাজ-কর্মই অপছন্দ হওয়া।
০৩) হঠাৎ ভালবাসা থেকে শত্রুতায় পরিবর্তিত হওয়া।
০৪) পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।
০৫) উভয়ের মাঝে প্রচন্ড সন্দেহের সৃষ্টি হওয়া।
০৬) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের চেহারা অপরজনের চোখে বদলে যাওয়া।
০৭) একে অপরের ব্যবহৃত জিনিস ও বসার জায়গা অপছন্দ করা।
০৮) একে অপরের উপস্থিতি সহ্য করতে না পারা। সবসময় ভাল থাকে কিন্তু সঙ্গীর নিকট আসলেই গোলমাল শুরু। ইত্যাদি।
.............
.
বিয়ে ভাঙ্গা বা বিয়ে বন্ধ করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
=======================
০১) বিয়ের আলোচনা শুরু হলেই অসুস্থ হয়ে পড়া।
০২) (সকল) পাত্র/প্রস্তাবদাতাকে খারাপ লাগা। প্রস্তাব মনমতো না হওয়া। অহেতুক সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া।
০৩) কোনো কারণ ছাড়াই বিয়েতে আগ্রহহীন হওয়া।
০৪) ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া। ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়া। ঘুম থেকে উঠার পর কষ্ট হওয়া।
০৫) প্রায় সময়ই মনে অস্থিরতা কাজ করা। সাধারণত সন্ধ্যা থেকে এরকম হয়।
০৬) পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা। বিশেষকরে কোমরের দিকে (পিঠের নিচের অংশে)।
০৭) মাথা যন্ত্রণা এবং তা চিকিৎসায় ভালো না হওয়া।
০৮) পেটে প্রায়সময়ই ব্যাথা হওয়া। ইত্যাদি।
.............
.
অসুস্থ বানানো বা হত্যা করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
======================
০১) প্রচন্ড অসুস্থ অথচ মেডিকেল টেস্টে ধরা না পড়া।
০২) প্রচন্ড অরুচি। দিনদিন প্রচন্ড স্বাস্থ্যহানি ঘটা।
০৩) মাঝে মাঝে শরীর ঝাকুনি বা খিচুনী দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাওয়া।
০৪) পঞ্চইন্দ্রীয়ের কোনো একটি দুর্বল বা অকেজো হয়ে যাওয়া।
০৫) শরীরের কোনো অঙ্গে সর্বদা ব্যথা থাকা।
০৬) পুরো শরীর অশাড়/নিশ্চল হয়ে যাওয়া।
০৭) কোনো অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি।
.............
.
মস্তিষ্কবিকৃতি বা পড়ালেখা নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
========================
০১) পড়ালেখায় হঠাৎ করে অবনতি। স্মৃতিশক্তি অস্বাভাবিকভাবে লোপ পাওয়া।
০২) পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে পড়া।
০৩) কথাবার্তা, কাজকর্মে ভুলভ্রান্তি বেড়ে যাওয়া। ওয়াসওয়াসা বেড়ে যাওয়া।
০৪) ঘুম না আসা। ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারা।
০৫) ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা। স্বপ্নে কেউ ধাওয়া করা।
০৬) একস্থানে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে না পারা। কোনো কাজ ধীরস্থিরভাবে করতে না পারা। সিরিয়াসনেস কমে যাওয়া।
০৭) জাগ্রত অবস্থায় "কেউ যেন ডাকছে" এরকম মনে হওয়া।
০৮) অকারণে হুটহাট বাড়ির বাইরে চলে যাওয়া, যেতে ইচ্ছে করা।
০৯) মাঝেমাঝে পাগলের মতো আচরণ করা।
১০) পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে উদাসীন হওয়া। ছেড়া ও ময়লা কাপড় পরতে ইচ্ছে হওয়া।
১১) চোখের অবস্থা পরিবর্তন এবং অসুন্দর হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি।
.............
.
গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
========================
০১) বারবার Conceive (গর্ভধারণ) হওয়ার পর Miscarriage (গর্ভপাত) হয়ে যাওয়া।
০২) মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যাথা।
০৩) ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা। ঠিকভাবে ঘুম না হওয়া।
০৪) মানসিক অশান্তি। বিশেষকরে বিকাল থেকে।
০৫) ভয়ংকর ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।
০৬) সহজেই সবকিছু ভুলে যাওয়া।
০৭) বুকের মধ্যে শক্ত বা ভারি ভারি অনুভূত হওয়া।
সৌন্দর্য নষ্টের জন্য যাদু।
এই যাদু মুলত কোন এক উদ্দেশ্য কে হাসিল করার জন্য করা হয়। যেমন: বিয়ে বন্ধ বা বিয়ে বিচ্ছেদ। এছাড়া বদ নযর ও হাসাদ (ঈর্ষান্বিত নযর) এর কারনেও হয়ে থাকে।
লক্ষন:-
১) চোখ লাল থাকা।
২) চোখে কুয়াশার মত ঝাপসা দেখা।
৩) ঘুমের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়া ও ঘুম না হওয়া।
৪) অধিক হারে দু:স্বপ্ন দেখা।
৫) মুখে,বুকে ও পিঠে লাল গোটা বা ব্রণ হওয়া।
৬) সব সময় পস্রাব করার আকাঙ্ক্ষা থাকা।
৭) প্রচুর গ্যাসের সমস্যা থাকা।
৮) অধিক হারে চুল পড়া।
৯) ক্ষুদা কমে যাওয়া বা অধিক হারে ক্ষুদা বৃদ্ধি পাওয়া।
১০) শরীরে ব্যাথা ব্যাথা অনুভব ও জ্বালা পোড়া করা।
১১) অলসতা, নিরাশা ও অধিক ঘুমের আকাঙ্ক্ষা থাকা।
১২) শারীরিক ভাবে কোন বিকৃতি ঘটা যেমন: অধিক মোটা হয়ে যাওয়া বা অধিক চিকন হয়ে যাওয়া, চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া বা অন্য কোন নযরে পরার মত বিকৃতি ঘটা।
১৩) মুখে বিভিন্ন গভির দাগ ও গোটা হয়ে যাওয়া।
১৪) শারীরিক ভাবে বার্ধক্য ভাব চলে আসা যেমন:- শরিরের ত্বকের রুক্ষতা,কুজা হয়ে যাওয়া এবং চোখ এর আশে পাশে কালো ছাপ পড়ে যাওয়া।
বিদ্র:- অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই যাদু মুলত ভিক্টিমের ছবি দিয়ে করা হয়। এই ছবিতে বিভিন্ন মন্ত্র লেখা হয় বা ছবিতে সুই ঢুকানো হয় অথবা ছবি কবরে রেখে দেয়া হয় ইত্যাদি উপায়ে এই যাদু করা হয়।তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে বা বিভিন্ন ফাংশনে ছবি তোলা ও আপলোড করা থেকে সতর্ক হওয়া উচিত।
চিকিৎসা :- একটি পাত্রে গোলাপ জল নিবেন অত:পর তার মধ্যে বেসিক যাদু ধ্বংসের আয়াত গুলো পড়বে এবং নিম্নের সুরা ও আয়াত গুলো পড়ে ফুক দিবেন।
# সুরা ফাতিহা (৭বার)
# ফালাক ও নাস (৭বার)
# আয়াতুল কুরসি (৩ বার)
# দুরুদ শরিফ (১ বার)
# সুরা নূর (৩৫)
# সুরা গশিয়াহ (৮)
# সুরা বুরুজ (১৬) {এই অংশটুকু বিশেষ করে ( وَّ زَیَّنّٰهَا لِلنّٰظِرِیۡنَ) পড়বে।}
# সুরা ক্বিয়ামাহ (২২-২৩)
# সুরা আলে ইমরান (১০৬)
# সুরা আবাসা (৩৮-৩৯)
# সুরা বাকারা (২৫৭) { এই অংশটুকু বিশেষ করে (اَللّٰهُ وَلِیُّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۙ یُخۡرِجُهُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوۡرِ۬ؕ) পড়বে।}
উপরোক্ত আয়াত গুলো প্রত্যেকটা কয়েকবার করে পড়ে গোলাপজল মিশ্রিত পানিতে ফুক দিয়ে মুখমণ্ডল ধুবে এবং গোসল করবে। আল্লাহ চাইলে সুস্থতা দিয়ে দিবেন।